গাজীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী,সন্তানের পৈতৃক সম্পতি জোরপূর্বক দখলসহ হত্যার হুমকি !
জুলকার নাইন মুকুল:
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন দিগধা,(বাড়িয়া)আমতলীতে পৈতৃক সম্পতি আত্মসাতের লালসায় আপন বড় বোন ও আপন ভাগ্নিকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় রক্ষা হলেও ক্রোধ থামেনি ভুক্তভোগীর ছোট ভাই সিদ্দিকের।প্রতিবেশীরা মা মেয়েকে অনাকাঙ্খীত ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে বাড়ির কেঁচি গেট তালা বদ্ধ করে একটা নিরাপত্তা সৃষ্টি করলেও হিংস্র সিদ্দিক গেটের সামনে ওত পেতে বসে থাকে অসহায় দুই নারীকে খুন করে ক্রোধ মেটানোর প্রত্যাশায়।প্রবাসীর মেয়ে জাকিয়া সুলতানা(২৭)জানান,ঘটনার তারিখ০২/১০/২০২০ইং জি আর নং২৯৫/২০২০ এজাহার ০৫/১১/২০২০ইং এর বর্ণনা অনুযায়ী প্রবাসি বড় মামা অবিবাহিত হওয়ায় মামার বাড়িতে মা মেয়ে স্ব পরিবারে বসবাস করে মামার সম্পত্তি ভোগদখল পূর্বক মৌসুমি ফল ফসলের চাষাবাদের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে থাকলে এক পর্যায় ইর্ষান্বিত হয়ে ছোট ভাই সিদ্দিক বাড়ি সহ এই সম্পত্তি নিজের দখলে নিতে ও বড় বোনকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে ছোট বোন ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে।যার ফলে জাকিয়া সুলতানা ও তার মায়ের পরিশ্রমে গড়ে উঠা শাকসবজির বাগান,মাচা,ফলন্ত গাছ কেটে ফেলেও তারা থেমে থাকেনি।নারীর অসহায়ত্ব ও বিনা বাঁধায় অপরাধ সংঘটনের তৃপ্তি তাদের ক্ষিপ্রতাকে আরও গতিময় করে তুললে অনধিকার প্রবেশ করে রান্না ঘর,বাথরুম,এবং ঘরের আসবাবপত্র ভেঙ্গে ফেলে ও তছনছ করে,মা মেয়েকে চুলের খোপা ধরে টেনে হেঁছড়ে মাটিতে ফেলে কিলঘুষি মেরে রক্তাক্ত ও অসুস্থ করে ফেলে।এমনকি গলা টিপে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারিভাবে ঘুরাঘুরি করতে থাকলে অসহায় জাকিয়ার মা অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শহিদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।ভুক্তভোগী জানায়,হত্যার চেষ্টায় সচেষ্ট সিদ্দিক ঘটনার সময় দা,শাবল,কোদাল ও কুড়াল জাতিয় অস্ত্র ব্যবহার করেছিল।থানায় অভিযোগ করে তেমন কোন সুবিধা করতে না পেরে মেয়ে জাকিয়া সুলতানা“হিউম্যান রাইটস সোসাইটি”গাজীপুর এর পরিচালক রহিমা বেগমের শরনাাপন্ন হয়ে মানবিক ও আইনগত সহযোগিতার আশ্রয় প্রার্থনা করলে বর্তমানে বিষযটি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির মানবিক কর্মকান্ড আওতাধীন রয়েছে।
জয়দেবপুর থানার আমতলী ফাঁড়ীর ইনচার্জ পারভেজ আহমেদ সেলিম মামলাটি তদন্ত করেন।যাহার মামলা নং-০৫ তাং ০৫/১১/২০ইংবিবাদীরা একই উদ্দেশ্যে অনাধিকার প্রবেশ করতঃ হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে যখম ক্ষতির শ্লীলতা হানী চুরি ও ভয়ভিতি প্রদানের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন পেশ করেন।কাঃ বিঃ ১৬১ ধারা মতে পারভেজ আহমেদের প্রাথমিক তদন্তের স্বাক্ষী (১) মোছাঃরাফেজা সুলতানা (৩৫),(২) মোছাঃ আফরোজা আক্তার (২৭) (৩)মোছাঃ ইনিয়া সুলতানা (১৪),(৪) মোছাঃ খাদিজা (৪৮),(৫)মোছাঃসামসুল হাজী(৫২)এর স্বাক্ষ্য গ্রহন করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে।
এ ঘটনার প্রক্ষিতে পরবর্তীতে গত ১৬/১২/২০২০ইং তারিখে জাকিয়া সুলতানা বাদী হয়ে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে যাহার নং৬৬৩